বিশ্বে স্বল্প সুদের ঋণের পরিমাণ কমছে

বিশ্বব্যাপী বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর সহায়তার পরিমাণ বাড়লেও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আবার যেসব দেশ এলডিসি উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছে, তারা একসময় অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধাসহ স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার সুবিধা হারাবে। এসব দেশের জন্য বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো দরকার বলে বক্তারা মত দিয়েছেন।
একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে স্বল্প সুদে দেওয়া ঋণের পরিমাণ কমছে, যদিও কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জোড়া ধাক্কার পর উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও বেশি করে স্বল্প সুদে ঋণ প্রয়োজন।
দেশের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ধনী দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো–অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা আজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
কোভিড সংকটের মধ্যে বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য বলে মন্তব্য করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। কিন্তু বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলো জায়গামতো অর্থায়ন করছে কি না এবং তাদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় আছে কি না—এসব নিয়ে তাঁর মধ্যে একধরনের অস্বস্তি কাজ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলেই মনে করেন তিনি। এসব কারণে বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ে। এ নিয়ে জি–২০ কী ভূমিকা পালন করে, তা দেখতে চান তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ আর বিশ্বব্যাংকের আইডিএভুক্ত থাকবে না, তখন আর স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। এই বিষয় তিনি মাথায় রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর উচিত, প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক পরিকল্পনা করা। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত নেপালের অর্ধেক। নেপালের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশের পক্ষে বাজেটঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হতো।
কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ক্ষমতায়নে তেমন কোনো অর্থ বিনিয়োগ হয় না।
বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর প্রতি মোস্তাফিজুর রহমানের পরামর্শ, বাংলাদেশে নিকট ভবিষ্যতে যেসব খাতে সফলতা অর্জন করতে পারে, সেগুলো চিহ্নিত করে অর্থায়ন করা।
মূলত ওইসিডির প্রণীত মাল্টিল্যাটারাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এই ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদনে বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর উন্নয়ন অর্থায়নের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর অর্থায়ন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল সবচেয়ে বেশি বহুপক্ষীয় সহায়তা পায়।
ওইসিডি মনে করে, উন্নয়ন সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগত দিক থেকে টেকসই উন্নয়ন দরকার বলে তাদের মত। সে জন্য বহুপক্ষীয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
ডিমের দাম হালিতে ১০ টাকা কমলো
প্রতি ডজন ডিমের দাম একদিনের ব্যবধানেই ১৬৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা কমে ১৪০ টাকায় বিক্রি হ...

ডলারের দাম ১০ টাকা কমেছে
প্রবাসী আয় রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। যার কারণে হু হু...
আজ দেশব্যাপী চালু হচ্ছে ওএমএস
আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম (ওএমএস...
বছরে সোনা চোরাচালান হয় ৭৩ হাজার কোটি টাকার
প্রতিদিন অবৈধভাবে ২০০ কোটি টাকার সোনা আসছে দেশে। এই হিসেবে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টা...

দেশে বেড়েছে কুরিয়ার খরচ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে এবার বেড়েছে কুরিয়ার সার্ভিসে পণ্য পরিবহনের খরচ...
